অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ জার্মানির সরকার বলছে, সেদেশে সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়া থেকে আসা আশ্রয়প্রাথীর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে গেছে।
আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যাপারে সর্বশেষ যে তথ্য জার্মান কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এ বছরের প্রথম তিন মাসে জার্মানিতে আশ্রয় চেয়েছে মাত্র এক লাখ ৭০ হাজার মানুষ। অথচ গত বছরের শেষ তিন মাসে এরকম আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখ।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল হয়তো এই পরিসংখ্যান দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবেন, কারণ তিনি আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা কমিয়ে আনবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
যখন ইউরোপের শরণার্থী সংকট গত বছর চরমে পৌঁছেছিল, তখন প্রতিদিনই প্রায় দশ হাজার করে মানুষ জার্মানিতে এসে ভিড় করছিল।
জার্মানিতে অভিবাসন বিরোধী দল এবং গোষ্ঠীগুলোর তীব্র বিরোধিতার মুখে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলকে তার অবস্থান বদলাতে হয়।
তবে এই আশ্রয় প্রার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ার জন্য জার্মান নীতির চাইতে বলকান অঞ্চলের দেশগুলোর নেয়া পদক্ষেপই আসলে বেশি দায়ী।
বিশেষ করে ম্যাসিডোনিয়া, ক্রোয়েশিয়া এবং অস্ট্রিয়া যেভাবে তাদের সীমান্ত অভিবাসীদের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে, তার ফলে এরা এখন আর জার্মানি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছে না।
এদিকে তুরস্কের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিতর্কিত চুক্তির অধীনে দুটি ফেরিতে করে ১২০ জন অভিবাসীকে আজ গ্রীস থেকে তুরস্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদের বেশিরভাগই পাকিস্তানি। এদের প্রথম একটি কেন্দ্রে আটকে রাখা হবে, সেখান থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হবে তাদের দেশে।